পীরগঞ্জে চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুট 251 0
পীরগঞ্জে চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে ব্যবসায়ীর টাকা লুট
মোঃ মোস্তাফা মিয়া,পীরগঞ্জ,রংপুর থেকে :
রংপুরের পীরগঞ্জে এনামুল (৩৫) নামের এক খাদ্য ব্যবসায়ীকে অতিমাত্রার চেতনানাশক ট্যাবলেট খাইয়ে ৮৫ হাজার টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত ১০ দিন যাবৎ সে রংপুরের রেইনবো ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এনামুল উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের মহেষপুর গ্রামের ইলিয়াস শাহ্র ছেলে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ উপজেলার শেষ সীমান্ত গুপিনাথপুর স্কুল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে জানা যায়,ব্যবসায়ী এনামুল প্রতিদিনের ন্যায় ঘটনার দিন বিকালে ধান-চাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে গুপিনাথপুর স্কুল মোড়ের শরিফুল ইসলামে রাইস মিলে যায়। সেখানে পূর্ব পরিচিত গুপিনাথপুর গ্রামের মৃত এমাজ উদ্দিনের ছেলে ধান ব্যবসায়ী চান মিয়া (৫৫), মৃত ছইমুদ্দিনের ছেলে মাসুদ মিয়া (৩০) ও চান মিয়ার ছেলে মিলন মিয়ার (৩০) সঙ্গে ধান ক্রয়ের কথাবার্তা চলছিল। উল্লেখিত ৩ জনের মধ্যে মাসুদ ও মিলন রাইসমিলের চালক ও হেলপার। একপর্যায়ে সন্ধ্যার সময় ব্যবসায়ী এনামুল তাদের চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালে স্থানীয় কাওছারের দোকান থেকে হেলপার মিলন নিজে গিয়ে চা আনে। ওই চায়ের মধ্যে ব্যবসায়ী এনামুলের চা কাপে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতিমাত্রার চেতনানাশক ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হয়। চা খেয়ে চেতনা হারায় এনামুল। অবস্থা বেগতিক দেখে চান মিয়া, মাসুদ ও মিলন তড়িঘড়ি করে এনামুলকে রাইস মিলে রেখেই ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।এদিকে এনামুল বাড়ি না ফেরায় রাতে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরদিন সকালে রাইসমিল খুললে এনামুলকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়
স্থানীয়রা। তাৎক্ষনিক স্বজনরা সজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রংপুর রেইনবো ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য নিলে ৩দিন পর সজ্ঞা ফেরে এনামুলের। সজ্ঞা ফেরার পর এনামুল জানায়, তার নিকট রক্ষিত ধান ক্রয়ের ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। স্থানীয়দের কাছে অভিযুক্ত চান মিয়া,মাসুদ ও মিলন মিয়া টাকা ও চেতনানাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর বিষয়টি স্বীকার করেছে।বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে এনামুল। ক্লিনিকের ম্যানেজার ডাঃ মিজানুর রহমান জানান,অতিমাত্রার চেতনানাশক সেবন করায় তার গুরুতর অবস্থা হয়েছে। চিকিৎসা নিতে আর একটু বিলম্ব হলে অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারতো। তবে সম্পুর্ণ সুস্থ্য হতে আরও সময় লাগবে। এ ব্যাপারে একাধিকবার গ্রাম্য শালিসে বসার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছে মাতব্বররা ।